মাইক্রাসফট ওয়ার্ডের দ্বিতীয় স্ক্রীনটির প্রতিটি পয়েন্ট পর্যায়ক্রমে ধারাবাহিকভাবে নিম্নে আলোচনা করা হ’ল:
1. Customize Quick Access Tool bar: এখানে মূলতঃ তিনটি আইকন দেখা যায় (১) Save ডকুমেন্টে কোন কিছু লিখার পর বা ব্ল্যাংক ডকুমেন্টকে সহজে সংরক্ষণ করার জন্য এই আইকোনটি ব্যবহার করা হয়। (২) Undo ডকুমেন্টে কোন কিছু লেখার পর অথবা ডকুমেন্টে যে কোন ধরণের লেখা, ছবি বা সেইফ ভূলবশতঃ যদি মুছে ফেলা হয় এবং তাৎক্ষনিকভাবে তা যদি পূনরায় ফিরিয়ে আনতে হয় তবে এই বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে। (৩) Redo/Repeat এই বাটনটি সাধারণত Undo button যা করে, ঠিক তার উল্টোটা করে।
2. Title bar: প্রতিটি প্রোগ্রামের একটি নিজস্ব টাইটেল বার থাকে। টাইটেলবারে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের নাম এবং ডকুমেন্টের নাম দেখা যায়। যে কোন প্রোগ্রামের টাইটেল বারের দিকে লক্ষ্য করলে সহজেই বোঝাযায় কম্পিউটার স্ক্রীনে কোন প্রোগ্রামটি ওপেন আছে বা কি প্রোগ্রাম নিয়ে ব্যবহারকারী কাজ করছে।
3. Ribbon Tab: রিবন ট্যাব বলতে টাইটেল বারের নিচে File, Home, Insert, Design, Layout, References, Mailing, Review, View, Add-In এবং Help এগুলোকে বোঝানো হয়েছে এবং প্রতিটি ট্যাবের এক একটি নিজস্ব রিবন রয়েছে।
4. Ribbon Display Option Button: এই বাটনটিকে ক্লিক করলে তিনটি সাব-অপশন দেখা যাবে যেমন: (১) Auto-hide Ribbon (২) Show Tabs এবং (৩) Show Tab and Commands. নিম্নে সাব-অপশন তিনটির বর্ণনা দেয়া হলো:
(১) Auto-hide Ribbon: এ বাটনে ক্লিক করলে Horizontal Ruler এবং Vertical Scrollbar সহ ডকুমেন্টটি ফুল স্ক্রীনে দেখা যাবে।
(২) Show Tabs: এ বাটনে ক্লিক করলে Tabs, Horizontal Ruler এবং Vertical Scrollbar সহ ডকুমেন্টটি ফুল স্ক্রীনে দেখা যাবে।
(৩) Show Tab and Commands-এ বাটনে ক্লিক করলে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডটিকে পূনরায় স্বাভাবিক মুডে দেখা যাবে অর্থাৎ প্রাথমিক পর্যায়ে ওয়ার্ড ওপেন করলে যেমনটি দেখায়।
5. Minimize/Maximize/Restore Button: Minimize বাটন (মাইনাস চিহ্নিত), এ বাটনে ক্লিক করলে টোটাল প্রোগ্রামটি মিনিমাইজ হয়ে টাক্সবারে অবস্থান করবে। পূনরায় ফুল স্ক্রীন করতে চাইলে টাক্সবারে অবস্থানকৃত আইকোনের উপর ক্লিক করলে প্রোগ্রামটি ম্যাক্সি মাইজ হয়ে যাবে।
Maximize/Restore Button বাটন, (Rectangle চিহ্নিত) এ বাটনে ক্লিক করলে একটি Rectangle প্যালেট বক্স শো করবে এখান থেকে যে বক্সের উপর মাউস ক্লিক করা হবে আপনার ওপেনকৃত প্রোগামটি সেই ভাবে প্রদর্শন হবে অর্থাৎ কম্পিউটারে যদি একটি প্রোগ্রাম ওপেন থাকে তাহলে সেটি মনিটরের একসাইডে ছোট আকারে দেখা যাবে, দুটি প্রোগ্রাম ওপেন থাকলে পাশাপাশি দুটি প্রোগ্রামের স্ক্রীন দেখা যাবে এবং চারটি প্রোগ্রাম ওপেন থাকলে সম্পূর্ণ মনিটর স্ক্রীনে চারটি প্রোগ্রামই পাশাপাশি দেখা যাবে।
6. Ribbon: বর্তমানে মাইক্রোসফট অফিস আপডেট-এর প্রতিটি ভার্সনেরই রিবন ট্যাবে একটি করে রিবন থাকে। এই রিবন গুলো বেশ কিছু আইকোন নিয়ে এক একটি গ্রুপ আকারে থাকে। সেগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই ফরমেটিং কাজগুলোর সমাধান করা যায়।
7. Group Button: প্রতিটি রিবনের এক একটি গ্রুপ বাটন রয়েছে এই গ্রুপ বাটনগুলোতে ক্লিক করলে প্রতিটি গ্রুপ আইকোনের বিস্তারিত অপশনগুলো দেখা যাবে।
8. Tab Stop Position: কার্সরকে নির্দিষ্ট পজিশনে নিয়ে কাজ করার সুবিধার্থে এই Tab Stop Position ব্যবহার করা হয়। Tab Stop Position- এর মধ্যে রয়েছে Left Tab, Center Tab, Right Tab, Decimal Tab, Bar Tab, First Line Indent এবং Hanging Indent.
9. Horizontal Ruler: রিবনের ঠিক নিচেই Horizontal Ruler টি দেখা যায়, এই Ruler-এর সাহায্যে ডকুমেন্টের/পেজের ডানে বা বামে কতটুকু মার্জিন ছাড়া আছে এবং টেক্স বাউন্ডারীর কতটুকু অংশ লিখার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে তা সহজেই বোঝা যায়।
10. Vertical Ruler: ডকুমেন্টর/পেজের সর্ব বামে Vertical Ruler এর অবস্থান। এই Ruler-এর সাহায্যে ডকুমেন্টের/পেজের উপরে বা নিচে কতটুকু মার্জিন ছাড়া আছে এবং টেক্স বাউন্ডারীর কতটুকু অংশ লিখার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে তা সহজেই বোঝা যায়।
11. Vertical Scrollbar: প্রোগ্রামের ঠিক ডানে Vertical Scrollbar টির অবস্থান। এই বারের উপরে একটি এ্যারো বাটন এবং নিচে একটি এ্যারো বাটন আছে। উপরের এ্যারো বাটনটিতে ক্লিক করলে পেজটি ধীরে ধীরে নিচে নামতে থাকবে এবং উপরের লেখা গুলো দেখা যাবে। নিচের এ্যারো বাটনটিতে ক্লিক করলে পেজটি ধীর ধীরে উপরে উঠতে থাকবে এবং পেজের নিচের অংশগুলো দেখা যাবে।
12. Cursor/Insertion Pointer: সাধারণত ডকুমেন্টে/পেজের ভিতরে অর্থাৎ টেক্স বাউন্ডারীর মধ্যে কালো মোটা একটি দাগ লাইটিং এর মতো আপ-ডাউন করতে থাকে সেটিই হচ্ছে Cursor/Insertion Pointer এবং এই Cursor/Insertion Pointer টি পেজের যখন যেখানে অবস্থান করবে ঠিক সেখান থেকেই লেখা শুরু হবে।
13. Text Boundary: ডকুমেন্টের/পেজের মাঝখানে Rectangle আকৃতির যে বক্সটি দেখা যায় সেটিই হলো Text Boundary আমরা সাধারণত এই বাউন্ডারির মধ্যেই লিখা-লিখির কাজগুলো সিমাবব্ধ থাকে। তবে এই টেক্স বাউন্ডারি প্রথম দিকে ওয়ার্ডের কোন ভার্সনেই শো করা থাকে না, এটি শো করতে হলে ওয়ার্ডের Options গিয়ে এটিকে শো করতে হয়। এটি তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ নয়, টেক্স বাউন্ডারি থাকলেও কাজ করা যাবে, না থাকলেও কাজ করা যাবে। তবে শো করা থাকলে একটি পেজের নির্দিষ্ট এরিয়া কতটুকু তা সঠিকভাবে বোঝা যায়।
14. Page/Document: পেজ বা ডকুমেন্ট বলতে সাধারণত আমরা যে অংশের মধ্যে লিখা-লিখির কাজ করে থাকি সেটাকেই বোঝায়।
15. Page Number Navigation Pane: মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের সর্ব বামে নিচের দিকে Page Number Navigation Pane-এর অবস্থান। এখানে দেখলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন যে, আপনি মোট কতগুলো পেজ নিয়ে কাজ করছেন এবং বর্তমানে কত নম্বর পেজে অবস্থান করছেন তা সহজেই বোঝা যায়।
16. Word Count Dialog box: মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের সর্ব বামে নিচের দিকে Page Number Navigation Pane-এর পরেই Word Count Dialog box-এর অবস্থান। এখানে ক্লিক করলেই Word Count নামে একটি Dialog box পাওয়া যাবে এবং আপনি যে ডকুমেন্ট নিয়ে কাজ করছেন তার একটি Statistics দেখতে পাবেন অর্থাৎ আপনার ডকুমেন্টে মোট কতটি পেজ আছে, কতটি ওয়ার্ড আছে, কতটি লাইন আছে, কতটি প্যারাগ্রাফ আছে এবং কতগুলো ক্যারেক্টার আছে বিস্তারিত সবকিছু দেখা যাবে।
17. Language Dialog box: মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের সর্ব বামে নিচের দিকে Page Number Navigation Pane, Word Count Dialog box-এর পরেই Language Dialog box অবস্থান। এখানে ক্লিক করলে Language নামের একটি Dialog box পাওয়া যাবে এবং এখানে দেখা যাবে আপনি কোন দেশের Language ব্যবহার করে কাজ করছেন এবং প্রয়োজনে আপনি Language পরিবর্তন করে কাজ করতে পারবেন।
18. Read Mode I-Con: মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের সর্ব ডানে নিচের দিকে Read Mode I-Con টির অবস্থান। এই বাটনে ক্লিক করলে ওপেনকৃত ডকুমেন্টটি Reading Mode View হবে, অর্থাৎ ফুলস্ক্রীনে পাশা-পাশি দুটি পেজ দেখা যাবে।
19. Print Layout Mode: মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের সর্ব ডানে নিচের দিকে Read Mode I-Con টির পরেই Print Layout Mode আইকোন-এর অবস্থান। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ওপেন করলে আমরা সাধারণত ডিফল্টভাবে Print Layout Mode টিই দেখে থাকি।
20. Web Layout Mode: মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের সর্ব ডানে নিচের দিকে Read Mode I-Con, Print Layout Mode আইকোন-এর পরেই Web Layout Mode আইকোনটির অবস্থান। এই বাটনে ক্লিক করলে ডিফল্ট ভাবে থাকা Print Layout Mode থেকে Web Layout Mode-এ ডকুমেন্টটি শো করবে, পূণরায় আগের অবস্থায় ফিরে আসতে চাইলে Print Layout Mode আইকোনে ক্লিক করতে হবে।
21. Zoom Out Button: মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের সর্ব ডানে নিচের দিকে Web Layout Mode আইকোনটির পরেই Zoom Out বাটনটির (মাইনাস চিহ্নিত) অবস্থান। এই বাটনে ক্লিক করলে প্রতি ক্লিকে ১০% করে জুম ছোট্ট হতে থাকবে।
22. Zoom Slider: মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের সর্ব ডানে নিচের দিকে Zoom Out আইকোনটির পরেই ( - এবং + চিহ্নের মাঝখানের বাটন) Zoom Slider বাটনটির অবস্থান। এই বাটনের উপর মাউসের লেফট বাটন ক্লিক করে চেপে ধরে বামে টানলে জুম ছোট হবে এবং ডানে টানলে জুম বড় হবে।
23. Zoom In Button: মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের সর্ব ডানে নিচের দিকে Zoom Slider আইকোনটির পরেই Zoom In Button বাটনটির (প্লাস চিহ্নিত) অবস্থান। এই বাটনে ক্লিক করলে প্রতি ক্লিকে ১০% করে জুম বড় হতে থাকবে।
24. Zoom Dialog box: মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের সর্ব ডানে নিচের দিকে Zoom Dialog box আইকোনটির অবস্থান। এই বাটনে ক্লিক করলে একটি Zoom Dialog box Open হবে, উক্ত Dialog box-এর মধ্যে রয়েছে Zoom to 200%, 100%, 75% Percent, Page Width, Text Width, Whole page এবং Many pages বর্ণিত অপশনগুলো যেটি সিলেক্ট করে Ok বাটনে ক্লিক করবে, সেই অনুযায়ী স্ক্রীন Zoom হবে।
***
৩য় পর্ব দেখতে এখানে ক্লিক করুন, সহজপদ্ধতিতে শিখুন মাইক্রোসফট অফিস (পর্ব-৩)
0 Comments